তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেপ্তার করে। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি আশরাফুজ্জামান দৌলা জানান, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা এনআইডির তথ্য ফাঁস ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডের মাধ্যমে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, সিআইডির তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসকের বাসা থেকে সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর বুধবার বিকেলে তাকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হয় সিআইডির টিম। এন এম জিয়াউল আলম ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ বিভ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি সিনিয়র সচিব পদে উন্নীত হন। এন এম জিয়াউল আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএসসি (অনার্স) এবং এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৬ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এনআইডির তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে তার গ্রেপ্তার দেশের তথ্য নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় গুরুতর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, এবং সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা দ্রুতই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন।